
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক |
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে সব ধরনের ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শুক্রবার গভীর রাতে উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে হলগুলোতে ছাত্রসংগঠনের কমিটি ঘোষণা ঘিরে সহিংসতা ও উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও সংশ্লিষ্ট হলগুলোর প্রাধ্যক্ষরা একযোগে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে মত দেন।
আন্দোলনের প্রেক্ষাপট
শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে রোকেয়া হল ও শামসুন্নাহার হলের একদল ছাত্রী ফটকের তালা ভেঙে বেরিয়ে আসেন। পরে তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়কে মিছিল করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, “ওয়ান টু থ্রি ফোর, হল পলিটিক্স নো মোর”, “হলে হলে রাজনীতি চলবে না” ইত্যাদি।
রোকেয়া হলের এক শিক্ষার্থী বলেন, “জুলাই আন্দোলনের মূল অঙ্গীকার ছিল হলগুলোকে রাজনীতিমুক্ত করা। কিন্তু কিছু সংগঠন সেই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের চেষ্টা করছে।”
উপাচার্যের প্রতিশ্রুতি
রাত আড়াইটায় উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ নিজ বাসভবনের সামনে এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “হলগুলো শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য, রাজনৈতিক দখলদারির জন্য নয়। প্রশাসন প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে যা বলা হয়েছে
রাত ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়—
“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হলে অবিলম্বে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলো। এ নির্দেশ অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রতিক্রিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তবে কয়েকটি ছাত্রসংগঠন বলছে, এটি শিক্ষার্থীদের সাংবিধানিক অধিকার সীমিত করতে পারে।