বুলেটের শব্দ আর বিজয়ের পথচলা: শাহবাগে আলমগীর হোসেনের ৫ আগস্টের স্মৃতি

বুলেটের শব্দ আর বিজয়ের পথচলা: শাহবাগে আলমগীর হোসেনের ৫ আগস্টের স্মৃতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট—বাংলাদেশের গণজাগরণের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। সেদিন রাজধানীর শাহবাগ, মতিঝিল, গুলিস্তানসহ নানা প্রান্তে লাখো মানুষের ঢল নামে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে। ঠিক সেই উত্তাল দিনের এক বাস্তব অংশ ছিলেন মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

ঢাকার শনিরআখরা থেকে শাহবাগ পর্যন্ত তিনি হেঁটেছেন—কখনো দৌঁড়ে, কখনো প্রাণ বাঁচাতে লুকিয়ে। তার ভাষায়,

> “সেদিন সারা দিন কিছু খাইনি। চারদিকে বুলেটের শব্দ। দোকানপাট বন্ধ, সবার মুখে আতঙ্ক। কিন্তু হেঁটে যাচ্ছি। দুই পাশের বাসা থেকে মহিলা’রা পানি দিচ্ছিলেন—সেটাই খেয়েছি।”

শাহবাগে পৌঁছে তিনি দেখেছেন জনতার ঢল—উৎসবমুখর বিজয়ের আবহ।

> “বিজয়ের স্বাদ পেলে কি আর ক্ষুধার কথা মনে থাকে?” — বলেন আলমগীর।

সেনাবাহিনী আর গণজোয়ারের সেই মুখোমুখি

আলমগীর জানান, দুপুর ১২টায় যাত্রাবাড়ীতে সেনাবাহিনী এসে তাদের মিছিল থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু জনতা তখনো বলছে—“আমরা গণভবনে যাবো!”
সেনাবাহিনী শান্ত রাখার চেষ্টা করে বলে,

> “আপনাদের বিজয় নিশ্চিত। আপনারা শান্ত হোন।”

কিন্তু উৎসুক জনতার ঢল থামেনি। তিনি বলেন,

> “আমরাও বুঝেছিলাম, আমরা বিজয়ের পথে।”

সেদিনের সেই দৃঢ়তা, সাহসিকতা আর প্রাণের বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন এক বাঁক তৈরি হয়েছিল। মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ছিলেন সেই বাঁকের একজন প্রত্যক্ষ যাত্রী।

আজ ৬ আগস্ট—এক বছর পেরিয়ে গেছে সেই দিনের। কিন্তু আলমগীর হোসেনের হৃদয়ে এখনো স্পষ্ট বুলেটের শব্দ, বিজয়ের আনন্দ, আর গণমানুষের সাহসী মিছিল।

> “এই দিন আমাদের বিজয়ের প্রতীক। এটাই দেখিয়েছে, জনগণ চাইলে যেকোনো ফ্যাসিবাদকে উৎখাত করা সম্ভব।” — বলেন মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )