
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী: গণতন্ত্র ও স্মৃতির দিন

রাষ্ট্রপতির বার্তা: ন্যায়বিচার রাষ্ট্রের দায়িত্ব
“জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল ছাত্র, শ্রমিক ও জনতার ক্ষোভের এক অসামান্য প্রকাশ। শহীদ ও আহতদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব।”
— রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন
বার্ষিকী উদযাপন ও কর্মসূচি
আজ প্রথম ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ ধরা হয়েছে — যা ৫ আগস্ট সরকারি ছুটি হিসেবে নির্ধারিত। আয়োজিত হয়েছে নানা কর্মসূচি — স্মৃতিসৌধে ফুলেল শ্রদ্ধা, মিছিল, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও ড্রোন শো। দুপুর ৫টায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করা হবে এবং সন্ধ্যায় শিল্পীদের পরিবেশনা থাকবে।
রাজনীতিতে প্রতিবাদ ও ডাক
জাতীয় নাগরিক পার্টি ও ছাত্ররাজনৈতিক সংগঠনগুলো ঢাকায় বার্ষিক দিবসে বিক্ষোভ করেন এবং নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি তোলেন। বিএনপি আগামী ৫ ও ৬ আগস্ট ‘বিজয় মিছিল’ করেছে নানা ঊপজেলা ও জেলা পর্যায়ে।
গত এক বছরে কী বদলেছে?
গত বছরের অভ্যুত্থানের পর সমাজে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। শেখ হাসিনার দল নিষিদ্ধ ও তিনি বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। তবে ওয়ান মানডেট ভিয়ানড, সভা–সংস্কার এখনও অসমাপ্ত। ১৪০০+ নিহত, ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট, গুম, সহিংসতা—এসব নিয়ে এখনো প্রশ্নের শেষ নেই।
স্মৃতি ও ভবিষ্যত প্রতিশ্রুতি
রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা প্রফ. মুহাম্মদ ইউনূস দুইজনই শহীদদের ত্যাগ স্মরণের পাশাপাশি দাবি করেছেন গণতান্ত্রিক সংস্কার জোরদার করতে হবে। এরই মধ্যে সাংবিধানিক পরিবর্তন, জাতীয় কমিশন গঠন, নির্বাচনে অধিকতর স্বচ্ছতা প্রয়োজন বলে বারবার জোর দেওয়া হয়েছে।