নিজস্ব প্রতিবেদক
জুলাই ২০২৫ — বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ইতিহাসে "জুলাই অভ্যুত্থান" এক অনন্য অধ্যায় হয়ে থাকবে। এই অভ্যুত্থানে যখন দেশের নানা প্রান্তে গণজাগরণ তৈরি হচ্ছিল, তখন যমুনা ফিউচার পার্ক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ছিল উত্তাল এক সংগ্রামের কেন্দ্রবিন্দু। আর সেই কেন্দ্রবিন্দুর নেতৃত্বে ছিলেন এক তরুণ, সাহসী এবং অদম্য ছাত্রনেতা — মো: মনিরুল ইসলাম চৌধুরী।
ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা মনিরুল ইসলাম চৌধুরী শুধু রাজনৈতিক আদর্শেই দৃঢ় নন, বরং মাঠের লড়াইয়েও ছিলেন প্রথম সারিতে। অভ্যুত্থানের সময় যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকায় লাগাতার অবস্থান, মিছিল, প্রতিবাদ কর্মসূচি ও দমন-পীড়নের মুখেও সাহস হারাননি তিনি। বরং দৃঢ় অবস্থানে থেকে সহযোদ্ধাদের উৎসাহিত করে গেছেন।
তাদের মত যুবকদের নেতৃত্বে আন্দোলন শুধু সংগঠিতই হয়নি, বরং এলাকার সাধারণ মানুষও ধীরে ধীরে সচেতন হয়ে রাজপথে নেমে এসেছে। নিরবিচারে গ্রেপ্তার, জলকামান, টিয়ার গ্যাস, এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও মনিরুলকে দমাতে পারেনি। তার সাহসিকতা ও সুদৃঢ় মনোবল তরুণ সমাজের জন্য হয়ে উঠেছে অনুকরণীয়।
রাজনীতিতে মনিরুল ইসলাম চৌধুরীর এই ভূমিকা শুধু তাৎক্ষণিক আন্দোলনেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং ভবিষ্যতের বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় তার নাম স্মরণীয় হয়ে থাকবে নিঃসন্দেহে।
বর্তমানে এই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক চেতনা জন্ম নিচ্ছে। অনেকেই মনে করছেন, যদি এমন নেতৃত্ব গড়ে ওঠে, তবে দেশের ভবিষ্যৎ অবশ্যই আলোর পথে এগোবে।