ছাত্রদলের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তন ও এনসিপির নতুন ইশতেহার
জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে ঢাকায় ছাত্রদল ও এনসিপির পৃথক সমাবেশে উঠে এলো নির্বাচনী বার্তা, পরিবর্তনের ডাক এবং নতুন সংবিধানের দাবি।
ছাত্রদলের সমাবেশে নির্বাচনী বার্তা ও তারেক রহমানের আহ্বান
ঢাকা প্রতিবেদক | ৩ আগস্ট ২০২৫
ঢাকার শাহবাগে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে আয়োজিত এ সমাবেশে বিএনপির শীর্ষ নেতারা তরুণদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন।
ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন,
“তারুণ্যের প্রথম ভোট ধানের শীষের জন্য হোক।”
তিনি আরও বলেন,
“বাংলাদেশের মানুষ আর প্রতিশোধের রাজনীতি চায় না, তারা চায় গুণগত পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিবে ছাত্রসমাজ।”
সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন,
“ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন। তিনি নেতৃত্ব দিবেন।”
ছাত্রদল নেতাদের মতে, আগে তাদের সভা করতে দেওয়া হতো না, কিন্তু শেখ হাসিনার পতনের পর রাজনৈতিক অবস্থা পাল্টে গেছে।
সমাবেশ ঘিরে ভোগান্তি
একই দিনে এইচএসসি ও সরকারি চাকরির পরীক্ষা থাকায় শহরে যানজট ও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। শাহবাগ ও আশপাশের হাসপাতালগামী রোগীরা ভোগান্তির শিকার হন। গণপরিবহনও ছিল কম, ফলে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘক্ষণ।
এনসিপির নতুন ইশতেহার: দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র ও গণতন্ত্রের দিকনির্দেশনা
একই দিনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম সমাবেশে ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন, যার মধ্যে অন্যতম:
- নতুন সংবিধান প্রণয়ন
- দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র (Second Republic) গঠন
- জুলাই অভ্যুত্থানের স্বীকৃতি ও বিচার
- দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান সংস্কার
নাহিদ ইসলাম বলেন,
“আমরা এমন একটি গণতন্ত্র চাই, যেখানে কেবল ভোটের দিনে নয়, প্রতিদিনই জনগণের অংশগ্রহণ থাকবে।”
তিনি আরও বলেন,
“ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন ঘটেছে, কিন্তু তার ভিত এখনো অক্ষুণ্ন। সেই ভিত্তিকে ভাঙতেই এই নতুন ইশতেহার।”
এছাড়াও তিনি “জুলাই সনদ” ঘোষণা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানান।
উপসংহার
ছাত্রদল এবং এনসিপির পৃথক সমাবেশে দুই ভিন্ন বার্তা উঠে এলেও একটি মিল রয়েছে—দুটি দলই পরিবর্তন, অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র এবং শাসনব্যবস্থার সংস্কারের ডাক দিয়েছে। তরুণদের ভূমিকা ও ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গঠনে দায়িত্বের কথা স্পষ্টভাবেই এসেছে দুই দলের বক্তব্যে।